পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গত চারদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এক হাজার শীতবস্ত্র(কম্বল) বিতরণ করেন পাথওয়ের সেচ্ছাসেবক কর্মীরা। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে যে সকল অসহায় হতদরিদ্র মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তাদের কথা চিন্তা করে গত শুক্র এবং শনিবার উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের সাগরের মোহনায় রাবনাবদ নদী সংলগ্ন এলাকায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে তারা।
একই সাথে চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া, গোলবুনিয়া ও মাছুয়াখালী এলাকার অসহায় শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছে পাথওয়ে’র সেচ্ছাসেবী কর্মীরা। এ সময় পাথওয়ে’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন, চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার, ইউপি সদস্য মো.জলিল, শিক্ষক এবং পাথওয়ে কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. বাসেদুল আলম(বাচ্চু) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল জলিল উপস্থিত ছিলেন। পাথওয়ে’র সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে দুই জন সচিবের উপস্থিতিতে কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখালা পাড়ার রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ , মহিপুর কো-অপারেটিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বুধবার দুপুরে জেলে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) ও অসহায় হতদরিদ্র শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ এবং একটি কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়েছে।
চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, শীত নিবারণ করার সম্বলটুকুও যাদের নেই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেয়ায় এই সকল মানুষ খুব খুশি। পাথওয়ে’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, পাথওয়ে সংকটাপন্ন মানুষের পাশে ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে এরই ধারাবাহিকতায় তীব্র শীতে এ উপজেলার উপজাতি(রাখাইন), জেলে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা),অসহায় হতদরিদ্র ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।