মানিক মন্ডল স্টাফ রিপোর্টারঃ
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সেই লক্ষ্যে সরকার কোমলমতি শিশুদের সুন্দর পরিবেশে লেখা-পড়া করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সংস্কার ও সজ্জিত করার জন্যে প্রতি অর্থ বছরে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে-ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ, বিশেষ ও প্রাক-প্রাথমিকের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ছোটখাতা ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিয়ম রয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক একত্রে কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু এ অর্থবছরে বিদ্যালয় সংস্কারে কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছে তা জানেন না বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের সংস্কারসহ প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণী কক্ষ সজ্জিত করণের কাজে ব্যয় করার নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে ছোটখাতা ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দে ১ লক্ষ ৫০ হাজার, স্লিপ ও প্রাক- প্রাথমিক ৫০ হাজার, মোট ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত প্রায় দেড় লক্ষর বেশি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ছোটখাতা ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিশেষ বরাদ্দ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নামমাত্র বেজ ডালাই, এর কাজ করা হয়েছে। স্লিপ ও প্রাক প্রাথমিকের শ্রেণী কক্ষের সজ্জিত করণ ও ভবন রংয়ের কাজ করা হয় নি।
এ সময় বিদ্যালয়ের সভাপতি হিট্টু ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ এসেছে তা আমি জানি না। এ বছর বিশেষ, স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকে মোট ২ লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এ কথা বললে তিনি বলেন, আমি গয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসাবে দ্বায়িত্বে আছি। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের ভয়ে আমি কোথাও যাই না। প্রধান শিক্ষক আমার কাছে ভাউচার নিয়ে এসে বলল স্বাক্ষর করতে, আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি। আমি নতুনভাবে সভাপতি পদে এসেছি তাই বেশি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো নবাব আলী মিয়াকে স্কুলে গিয়ে না পাওয়া মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আমি বিদ্যালয়ের বরাদ্দের টাকা দিয়ে কি করেছি তা আপনারা উপজেলা ইন্জিনিয়ার অফিসে গিয়ে দেখেন আমি কোন তথ্য দিতে পারবোনা। ডিমলা উপজেলা ইন্জিনিয়ার অফিসে তথ্যের জন্য গেলে ইন্জিনিয়ার মো সফিউল ইসলামকে না পেয়ে মুঠোফোন এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার অফিস সহকারীর মো আসাদুজ্জামান কাছে লিষ্টটা নিয়ে দেখতে পারেন। অফিস সহকারীর মো আসাদুজ্জামান কাছে লিষ্টটা চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে নাই আপনারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাবেন।
ডিমলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আজকে বেস্ত আছি পরে বিস্তারিত জানাবো। স্কুল বরাদ্দের লিষ্টটা দিলেও তাতে বিস্তারিত ছিলো না। “একুশে সংবাদ” এর বিশেষ প্রতিবেদনে ডিমলা উপজেলা সরকারী দুই কোটি টাকার সিংহভাগ অনিয়মের অভিযোগ। ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে এক সপ্তাহ অনুসন্ধানকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আসছে