নিজস্ব প্রতিনিধি নোয়াখালী:
নোয়াখালীতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা করায় বাদীর পরিবারের উপর নৃসংশ হামলা করেছে অভিযুক্ত ইয়াকুব শরীফের পরিবারের লোকজন। সূত্রে জানা যায় ইয়াকুব শরীফ কয়েক বছর আগে বিমানবন্দরে কাস্টমস এ ঝাড়ুদার হিসাবে চাকুরীতে যোগদান করে, বর্তমানে সে পিয়ন হিসাবে চাকরি করে। কাস্টমসে পিয়ন হিসাবে চাকরির সুবাদে কয়েক বছরে সে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যায়,, অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হয়ে সে এখন চোখ পড়ে নিরীহ ফয়েজ আহমেদর বসত বাড়ির উপর। সহজ ভাবে কাবু করতে না পেরে শুরু করে অত্যাচার। তাই ফয়েজ আহাম্মদ বাদী হয়ে তার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের রহস্য উদঘাটনের জন্য দুদকে দরখাস্ত করিলে দুদক নোয়াখালীর উপ-পরিচালক জনাব সুবেল আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টিম ইয়াকুব শরীফের বাড়িতে যায়। সে সময় এলাকার বহু লোকজন জড়ো হয়। বাদী সহ এলাকার লোকজন অভিযুক্তদের সমস্ত সম্পদের বিবরন দেন। জমি, মাছের প্রজেক্ট, নোয়াখালী সুপার মার্কেটে ৩ টি দোকান, শশুর বাড়িতে দালান, এক কোটি টাকা মূল্যের তিন বাড়িতে তিনটি বিল্ডিং, ইয়াকুব শরীফ ও তার পরিবারের নামে অবৈধ সম্পদের বিবরণ দেয় ও সরেজমিনে দেখান। তৎ কারণে বিবাদীগন বাদীর উপর চরমভাবে ক্ষীপ্ত হয় এবং বাদীকে প্রানে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে, বাড়ীঘর আগুনে পুড়িয়া জায়গা দখল করিয়া নিবে বলিয়া হুমকি দেয়। গত ৬ অক্টোবর ২০২০ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফয়েজ আহমদ এর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে মাইমুনা সুলতানা রুমা গৃহস্থালি কাজে হাড়ি-পাতিল ধোয়ার জন্য পুকুরের ঘাটে গেলে ইয়াকুব শরীফের ভাতিজা নুরুল আমিন (রাফি) মাইমুনাকে একা পেয়ে ঝাপটাইয়া ধরে এবং তার পরনের সালোয়ার কামিজ টেনে হেচড়ে ছিড়ে ফেলে শীলতাহানী সহ টেনে টেনে তাদের ঘরের ভিতরে নিয়ে যায় ও ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় মাইমুনা শোর চিৎকার করিতে থাকে। মাইমুনার শোর চিৎকার শুনিয়া এলাকার লোকজন আগাইয়া আসতে দেখে নুরুল আমিন মাইমুনাকে চুলের মুঠি ধরিয়া এলোপাথাড়ি কিল,ঘুশি মারতে থাকে। এরপর নুরুল আমিনের ছোটভাই মোঃ রিতন ও তাদের বাবা সহিদ উল্যাহ আসিয়া তারাও মাইমুনাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুশী, লাথি মারিয়া বেদনা দায়ক ফুলা যখম করে। সহিদ উল্লাহ মাইমুনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। এসময় মাইমুনার বাবা ফয়েজ আহমদ ও এলাকার লোকজন গিয়ে মাইমুনাকে নুরুল আমিনের হাত থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা কালে নুরুল আমিনের হাতের কাছে থাকা চাপাতি দিয়া মাইমুনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে
মাইমুনার মাথা লক্ষ করিয়া স্বজোরে কোপ মারে। মাইমুনা আত্নরক্ষার্থে পিছনে সরিয়া গেলে চাপাতির কোপ মাথায় না লেগে বাম চোখের নিছে লাগে এবং গভীর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। যাহা এলাকার লোকজন প্রত্যক্ষ করে। অবস্থা খারাপ দেখে লোকজন মাইমুনাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ভর্তি করে। মাইমুনা বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই ব্যপারে মাইমুনার বাবা ফয়েজ আহমদ বাদী হয়ে ১। নুরুল আমিন ২। সহিদ উল্লাহ, ৩। মোঃ রিতন, কে আসামী করিয়া নোয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং আদালতের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করেন।