মোঃ মহি উদ্দিন নিজস্ব প্রতিনিধি নোয়াখালীঃ
ভাসানচর নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। ভাসানচর মূলত দুইটি চরের সমন্বয়ে গঠিত- ঠেঙ্গারচর এবং জালিয়ারচর। ভাসানচরের মোট আয়তন ১৬ হাজার একর। এর মধ্যে ঠেঙ্গারচরের আয়তন ১০ হাজার একর এবং জালিয়ারচরের আয়তন ৬ হাজার একর। ভাসানচরের দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৪.৫ কিলোমিটার ( প্রায় ৩৬ বর্গ কিলোমিটার)। হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ভাসানচর। এ ছাড়া নোয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার ও উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর উপজেলা হতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পশ্চিম প্রান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন এই ভাসানচর। মাছধরার নৌকায় করে হাতিয়া থেকে ঠেঙ্গারচরে পৌঁছতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। তবে চরটির সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ সহজ করতে এরই মধ্যে পল্টুন স্থাপন করা হয়েছে। হেলিকপ্টার অবতরণে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপত্তায় রয়েছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। ভাসানচরে নির্মাণ করা হয়েছে আবাসন প্রকল্প। ব্যবহার উপযোগি ভাসানচরকে জোয়ার-ভাটার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক। ভাসানচরের মাটি খুবই উর্বর, সেখানে ধান এবং বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ পরিকল্পিত বনায়ন করা হয়েছে। এই চরে হাঁস, মুরগী, কবুতর, ভেড়া, মহিষ এবং পরিকল্পিতভাবে মৎস চাষ হচ্ছে। ভবিষ্যতে পর্যটকদের জন্য ভাসানচর খুবই আকর্ষণীয় স্থান হবে।