নিজস্ব প্রতিনিধি নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাছ ধরা ও ফেইসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও বসতঘর ভাংচুর করা হয়। এসময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার বগাবাড়িয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বগাবাড়িয়া গ্রামের ঈদগাহ বাড়ীর সিদ্দিক উল্যার ছেলে সাইফুলের সাথে পাটোয়ারী বাড়ীর ইউসুফের ছেলে লিমনের গত ৩ মাস আগে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়। পরে গত সোমবার সন্ধ্যায় আব্দুর রহিমের দোকানে ফেইসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বেলায়েত হোসেনের ছেলে রাকিবের সাথে ছিদ্দিক উল্যার ছেলে সাইফুল আবু তাহের মাষ্টারের ছেলে সাদ্দাম ও আমিন উল্যার ছেলে আমির হোসেনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। একই দিন রাতে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বৈঠক চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় সাদ্দাম গ্রুপের সাইফুল ও আমির হোসেন সহ ৬/৭ জনের একটি গ্রুপ বেলায়েত হোসেনের ছেলে রাকিবকে বেদম মারধর করে পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাত ৮ টায় মাসুদের দোকানে রাজু, লাদেন, জামিল, বুলেট সহ ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ আমির হোসেনের উপর হামলা চালায়। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০/১২ টি বসতঘর ও দোকান ভাংচুর করা হয়। আবু তাহের মাষ্টারের, আমির হোসেন, ছিদ্দিক উল্যার, বেলায়েত হোসেন, কলিম উল্যাহ, কামাল হোসেন, বাবুল মাষ্টার, দুলাল মাষ্টারের বসতঘর এবং শিরন, মফিজ ও রহিমের দোকান সহ ১০/১২ টি বসতঘর ও দোকান ভাংচুর করা হয়।
এ সময় মনোয়ারা বেগম (৬০), ছেনোরা বেগম (৫০), কামাল হোসেন(৫৫), ছিদ্দিক উল্যা (৬৫), সালমা আক্তার(১৮), সাইফুল ইসলাম(২৫), শরিফ (২০), বেলায়েত হোসেন(৬০) সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মুঠোফোনে জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।