নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালী।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমূহানী মিয়ার পোল এলাকায় সন্ত্রাসীর চুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে হৃদয় ( ২৪ ) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। হৃদয় বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুর রহিমের ছেলে। এই বিষয়ে নিহতের বাবা আব্দুর রহিম বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গতকাল ৭ আগষ্ট ২০২০ তারিখ বিকেলে মিয়ার পোল এলাকায় কিছু একটা বিষয়ে মামলার ১ নং আসামী ফাহিমের সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় বসে এলাকায় স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির জন্য কথা চলছিল এরই মধ্যে হৃদয় এবং ফাহিমের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে ফাহিম চুরি দিয়ে হৃদয়ের পেটে আঘাত করে ও কাঁচের বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করে, এতে হৃদয় গুরুতর আহত হয়। এসময় কাছে থাকা লোক জন হৃদয় কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লা পর্যন্ত গেলে হৃদয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এদিকে ঘটনার পরপরই হৃদয়ের বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং
১৫– ০৭/০৮/২০২০ ইং
মামলা পেয়ে পুলিশ সময় ক্ষেপন না করে এ এস পি সার্কেল বেগমগঞ্জ জনাব শেখ মোহাম্মদ শাহজাহান, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ও সি ) জনাব হারুনুর রশীদ, ও টি এস আই বেগমগঞ্জ জনাব মোস্তাক আহমদ এর সমম্বয়ে যৌথ টিম দ্রূত ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযান চালিয়ে এজাহার ভূক্ত ১০ আসামির মধ্যে ছয়জন ( ৬ ) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও ১ নং এজাহার ভূক্ত আসামি ফাহিম কে গ্রেপ্তার করতে পারেন নি। কিন্তু পরে এলাকা বাসী মামলার এজাহার ভূক্ত আরো দুই (২) আসামীকে ধরে পিটিয়ে আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে আহত ঐ দুই আসামী পুলিশী হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি আছে। বেগমগঞ্জ এ এস পি সার্কেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বাকী দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।
গ্রেপ্তার কৃত আসামীরা হলো :
১। জাহাঙ্গীর আলম। ২। মোঃ জাবেদ ৩। মোঃ বেলাল হোসেন। ৪। জাহিদুল ইসলাম। ৫। ইমরান হোসেন ঝন্টু। ৬। জহিরুল।
আহত দুই জন,
১। সোহাগ। ২। মোঃ নাইম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব হারুনুর রশীদ মুঠোফোনে জানান মামলার বাকী দুই আসামীকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।