নিজস্ব প্রতিনিধি : নোয়াখালী।
গত ২৮ জুলাই ২০২০ দিবাগত রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমূহানী পূর্ব বাজারে অবস্থিত ড্রীম হাসপাতালে বাচ্চা সহ এক প্রসূতীর অস্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে। নিহতের নাম রাবেয়া বেগম (৩০) স্বামী : আমান উল্লাহ। বেড়ামিয়ার বাড়ি। কাশিপুর, সোনাইমুড়ী। জানা যায় ঐদিন নিহত রাবেয়া বেগমের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে রাবেয়া বেগমকে সি এন জি যোগে তার আত্বীয় স্বজন ড্রীম হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভর্তির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ডাক্তার নুর মোহাম্মদ ( ব্যবস্থাপনা পরিচালক ) রাবেয়া বেগম ও তার বাচ্চা কে নিহত ঘোষণা করেন। এহেন অস্বাভাবিক মৃত্যু আত্বীয় স্বজন মানতে পারেনি। এই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে দালাল চক্রের মাধ্যমে মৃতার আত্নীয়দের লাশ নিয়ে যেতে চাপ সৃষ্টি করা হয় ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশের নিরব ভূমিকা মৃত রাবেয়া বেগমের আত্নীয় স্বজনদের হতাশ করে। এবং লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। পুলিশের এই নিরব ভুমিকা জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এই দিকে ড্রীম হাসপাতালের মালিক ডাক্তার নুর মোহাম্মদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মানব কল্যান কে বলেন এই বাচ্চা ও প্রসূতির মৃত্যুর ব্যপারে তার কোন হাত নেই এবং তার কিছু করার ছিলোনা। তিনি বলেন, এই রুগী প্রথমে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়, তার পর মূমুর্ষ অবস্থায় সি এন জি যোগে আমার এখানে নিয়ে আসে রুগী তখন সি এন জি থেকে নামতে পারছিলনা, অনেক কষ্ট করে ৪/৫ জনে ধরে কোনো রকমে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে আসে রুগীর অবস্থা দেখে আমি ভর্তি করাতে চাইনি। অনেক রিকোয়েস্টের পর ভর্তি করি। তাড়াতাড়ি আলট্রাসনোগ্রাম করে তাৎক্ষণিক দেখতে পাই রুগীর পেটের মধ্যেই বাচ্চা মৃত এবং রুগীর পেটে কোন পানি নেই। তা আমি রুগীর লোকজন কে বলেছি। এই অবস্থায় রুগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে থাকি। তার পরেও রুগীকে বাঁচাতে পারিনি। এতে আমার কিছু করার ছিলোনা। অতিতেও আপনার হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে এর কারণ জানতে চাইলে ডাক্তার নুর মোহাম্মদ বলেন আমি এর উত্তর মোবাইলে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন আপনি ঈদের তিন দিন পরে দেখা করবেন। আমি সরাসরি এর ব্যাখ্যা দিব এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
ডাক্তার নুর মোহাম্মদ এর কথা মতো ০৪ আগষ্ট ২০২০. বেলা ১২:০০ টায় ড্রীম হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার নুর মোহাম্মদ সাহেব কে পাওয়া যায় নি। তাকে না পেয়ে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে অপরাগতা করেন।
অনুসন্ধান চলবে।