মোঃ মহি উদ্দিন : স্টাফ রিপোর্টার।
…………….
আজ সারাদেশে পালিত হলো মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ত্যাগের মহিমায় এই পবিত্র দিনে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজছেন মুসলমানরা।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি থাকলেও প্রায় সকলেই আনন্দ ও বেদনার সঙ্গে পালন করছেন ঈদ।
শনিবার সকালে মসজিদে ঈদের নামাজের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর শুরু হয় কোরবানি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি দিয়েছেন ।
কেবল লোক দেখানো আর আনন্দ উদযাপনের জন্য একজন মুমিন পশু কোরবানি করে থাকে না বরং এক অসাধারণ ত্যাগকে স্মরণ রেখে ঈদ উদযাপন করে।
কুরবানির যে প্রকৃত গুরুত্ব তাকে স্মরণ রাখে আর সে সেভাবেই স্মরণ রাখে যেভাবে স্মরণ রাখা উচিত।
হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.) হাজার হাজার বছর পূর্বে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোরবানি করেছিলেন তাকে স্মরণ করেই মুমিন কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকে।
যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয় আল্লাহ তা গ্রহণ করেন।
-শুধু কোরবানি করলেই হবে না বরং সেই আদর্শও আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে, নিজেদের মাঝে উত্তম আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রত্যেক নারী যখন হজরত হাজেরার আদর্শ অনুুকরণের চেষ্টা করবে আর প্রত্যেক যুবক যখন হজরত ইসমাইলের আদর্শ অনুসরণের চেষ্টা করবে তখন আল্লাহতায়ালার কৃপাবারীও বর্ষিত হবে।
আর তখনই সত্যিকার কোরবানি হবে আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হবে।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-ভ্রাতৃত্ব এবং সঠিক চেতনাবোধ জাগ্রত হউক আজকের এই দিন থেকে সবার মাঝে ।